Wednesday, September 20, 2017

বালিঘড়ি ও বাতিঘর

তুমি, যে বিমুক্তি নেবে অন্ধ আলোর থেকে
আলোকিত অন্ধকারের পথে, স্রোত থেকে স্রোতান্তরে –
তুমি, যে উজান ও ভাঁটা মিলে শূন্য হবে – তেপান্তরের ও’পারে রাখবে
নির্গ্রন্থ অক্ষরকাঁটা – জঙ্গলে মানুষের ঘ্রাণ, মানুষে সমুদ্রের
সমুদ্রে বসত করে অলীক জলপরী
মাঝে মাঝে উঠে আসে জ্যোৎস্নার বালুচরে ক্লিশের ক্লীবমুখ ছিঁড়েফুঁড়ে –
মাংসে চৈতন্য ছোঁড়ো, ছোঁড়ো পাথর কাঁটাতারে কার্ফ্যুতে
প্রেমবজ্র নিক্ষেপ করো যা কিছু দুখদায়ী, তাতে,
যে দুঃখ আপন নয় তাতেও কেঁদেছো বুঝি কিছু
নিভৃত সুন্দর কাঁদিয়েছে অভ্যন্তর আলিন্দে প্রাচীরে
কেঁদে কেঁদে ফিরে গ্যাছে দয়ালু নদীর ঢেউ নানাবিধ বিকেলের কাছে
ভেঙে দুই রাঙাপাড়, গিলে কিছু কেল্লা ও ফাটক
প্রিয় ইনকিলাব,
গাছ হয়ে যেও মাঝে মাঝে
চিঠি লিখতে ইচ্ছে করলে মানুষের মতো অনুভূত হয়  -

জানলা খুলে রেখো
বলা যায় না, চলেও আসতে পারে যে'কোনো উচ্ছ্বল একদিন
দু’একটা নির্লিপ্ত প্রজাপতি – পায়ে নিয়ে অবিস্মরণীয় রেণু!



No comments: